প্রাথমিক ভাবে, একটা কথা বলা জরুরি বলে মনে করি। Ink Jet এবং LASER প্রিন্টার এর জন্য জরুরি বা প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান কিছুটা সহজ, কিন্তু যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তা বেশ কিছুটা জটিল, বোঝানোর থেকেও পড়ে বোঝা মুশকিল।
দুই রকম আলাদা Printer এর ক্ষেত্রে যে পৃথক বিজ্ঞান ব্যবহার করা হয় তা বলছি।
Ink-Jet Printer এর ক্ষেত্রে দু'ধরনের পদ্ধতি আছে, একটি Continous Jet পদ্ধতি ( Method ) এবং অন্যটি Drop-on-Demand (DOD) পদ্ধতি। Ink-jet Printer এর জন্য Continuous Jet পদ্ধতি তে, নিয়ন্ত্রিত ভাবে কালি কে একপ্রকার বেশ জোড়ে JET পদ্ধতিতে ছোঁড়া হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে যা Print হবে, তার এক Imaging করে, সে মোতাবেক "Jet" ব্যবহার করে কালি "Inject" বা ছোঁড়া হয়। এক্ষেত্রে সাইফন ( Syphon ) এর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অন্য আরেকটি DOD বা Drop-on-Demand পদ্ধতিতে, কালির Droplet ব্যবহার করে Print করা হয়।
এখন Ink-Jet Printer এ দুটো পদ্ধতিতেই কালি বা তরলের পৃষ্ঠটান বা Surface Tension কে ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে LASER Printer এর ক্ষেত্রে Electrostatic Charging পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা প্রিন্ট করা হবে, ব্যবহৃত কাগজের ওপর সেইমতো Pattern অনুযায়ী অংশগুলো কে তড়িদাহিত বা Charging করা হয়, অন্য দিকে কালি, যা LASER Printer এর ক্ষেত্রে অনেকখানি চটচটে গুঁড়োর মতো যা Toner নামে পরিচিত। এই কালির গুঁড়োগুলোকেও তড়িদাহিত করা হয়, কিন্তু কাগজের ঠিক বিপরীত আধানে, স্বাভাবিক ভাবে স্থিরতরিত আকর্ষণের কারনে Print হয়, একইসাথে Print করানো কাগজগুলোও কিছুটা গরম করা হয়, যা Print হয়ে বেরোনোর পর কাগজে হাত দিলেই অনুভব করা যায়… তার আসল কারন যাতে কাগজের ওপর কালি শুকিয়ে যায়।