Pages

Showing posts with label Information. Show all posts
Showing posts with label Information. Show all posts

Sunday, December 17, 2023

মরতে চাইলে যায় না মরা

 ১৯৭৯-এর ২ ডিসেম্বর। এলভিটা অ্যাডামস নামের এক ভদ্রমহিলা চাকরি হারিয়ে সিদ্ধান্ত নেন আত্ম*হ*নের। নিউ ইয়র্কের এমপায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের ৮৬ তলায় তথা ১২৫০ ফুট উচ্চতার স্কাইস্ক্র্যাপার থেকে লাফ দেন তিনি। কিন্তু বিধিবাম! মুহূর্তেই তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেন ৮৫ তলায়! ঘটনা কী! মজার বিষয় হচ্ছে, লাফ দেওয়ার পরপরপই ঘন বায়ুপ্রবাহ তাঁকে উড়িয়ে আবার বিল্ডিংয়ের ভেতর নিয়ে আসে!

১২৫০ ফুট (অ্যাপ্রক্সিমেটলি ৩৮১ মিটার) উচ্চতায় বায়ুপ্রবাহের ঘনত্ব সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯০-৯৫% বেশি হয়। যা অনায়াসেই একজন মানুষকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। তবে এই মাত্রা আবহাওয়া ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয়। সুতরাং এমপায়ার স্টেট বিল্ডিং থেকে লাফ দিলেই যে প্রতিবারই এমন হয়, তা নয়। এর আগেও অন্তত ৩০ জন একই স্থান থেকে লাফ দিয়ে প্রানত্যাগ করেছে।

পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ কী?

 বাসে গাদাগাদি ভিড়। এক ভদ্রলোক একটি দামী স্যুটকেস নিয়ে উঠলেন। অধ্যাপক টাইপ চেহারা।

প্রশ্ন করলেন-"আচ্ছা, পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ কী?"

সকলেই চুপ করে শুনতে থাকলেন তার কথা। কেউ কোনও কথা বলছেন না দেখে তিনি আবার শুরু করলেন -

"পলাশীর প্রান্তরে সেদিন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্য ছিল অনেক। লর্ড ক্লাইভের সৈন্য অল্পসংখ্যক থাকা সত্ত্বেও নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। আপনারা বলবেন যে জগৎ শেঠ, মীর জাফরদের গাদ্দারির কারণে নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই ইতিহাস সবটাই সত্য নয়। সত্য ইতিহাস জানতে হবে।"

একজন কৌতূহলী যাত্রী জানতে চাইলেন -- "তবে সত্য ইতিহাসটা কী?"

"সত্য ইতিহাস আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। ক্লাইভ দূরবীন দিয়ে নবাবের সৈন্যদের গতিবিধি লক্ষ্য করলেন। পলাশীর আম বাগান তখন শূন্য। মীর জাফর তার আয়ত্ত্বাধীন সৈন্য নিয়ে কেটে পড়েছে। ক্লাইভ তো অবাক। নবাবের সৈন্যরা তবে গেল কোথায়? নিশ্চয়ই কোনও চাল চেলেছে।

হঠাৎ নজর পড়ল আমগাছের দিকে। একটি ডাল নড়ে উঠল। ক্লাইভ এবার দেখল যে, নবাবের সৈন্যরা আম গাছের ডালে ডালে বসে আছে। নিচ দিয়ে যেতে গেলেই তারা গেরিলা আক্রমণ করবে বলে প্রস্তুত।

ক্লাইভ কাছাকাছি না গিয়ে দূর থেকে কামান আর বন্দুক তাক করল। ফলন্ত গাছ থেকে আমের সাথে সাথে টুপটুপ করে ঝরে পড়তে লাগল নবাবের সৈন্য। আহ্!"

ভদ্রলোকের বলার ভঙ্গিতে যাদু ছিল। সকলেই মন দিয়ে শুনছিলেন তার কথা। তিনি আবার বলে উঠলেন -

"নবাবের সৈন্যরা সকলেই ইংরেজদের হাতে মারা পড়লেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে। আম গাছের ডাল সেদিন নড়ে উঠল কেন? কী ছিল ষড়যন্ত্র?"

যাত্রীদের সকলের মনে প্রশ্ন জেগে উঠল। তাই তো, আম গাছের ডাল নড়ে উঠল কেন? গাছের ডাল না নড়লে তো ক্লাইভের নজরে আসত না সৈন্যদের অবস্থান!

ভদ্রলোক বললেন, "কেন নড়ে উঠেছিল গাছের ডাল? কে বলতে পারবেন?"

যথারীতি সকলেই চুপ করে থাকলেন। ভাবগতিক এমন যে, "আমরা জানি না, আপনিই বরং বলে দিন।"

তিনি তখন স্যুটকেস খুললেন। একটি জিনিস বের করে সকলকে দেখিয়ে বললেন -

"ডাল নড়ে ওঠার কারণ ছিল- চুলকানি, দাউদ, চর্মরোগ। বড় মারাত্মক এই রোগ, বুঝলেন? নবাবের এক সৈন্যের ছিল চুলকানি। এই চুলকানির জন্যই সেদিন ডাল নড়ে উঠেছিল। ডাল না নড়লে ক্লাইভ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।

আর তাই আমি এনেছি চুলকানির মলম। দাম মাত্র ত্রিশ টাকা!

অভাগা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

 


সবচেয়ে বড় অভাগা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার চার বছরের শিশু বুলবুল যে রাতে মারা গিয়ে ছিল, সে রাতে তার পকেটে একটা কানাকড়িও ছিল না। অথচ কাফন,দাফন,গাড়িতে করে দেহ নেওয়া ও গোরস্থানে জমি কেনার জন্য দরকার দেড়শো টাকা, সে সময়ের দেড়শো টাকা মানে অনেক টাকা। এত টাকা কোথায় পাবে। বিভিন্ন লাইব্রেরীতে লোক পাঠানো হল। না, টাকার তেমন ব্যবস্থা হয়নি। শুধুমাত্র ডি. এম লাইব্রেরি দিয়েছিল পয়ত্রিশ টাকা। আরো অনেক টাকা বাকি। টাকা আবশ্যক।

ঘরে দেহ রেখে কবি গেলেন এক প্রকাশকের কাছে। প্রকাশক শর্ত দিল। এই মুহূর্তে কবিতা লিখে দিতে হবে। তারপর টাকা।

কবি মনের নীরব কান্না,যতনা লিখে দিলেন কবিতায়

"ঘুমিয়ে গেছে শান্ত হয়ে

আমার গানের বুলবুলি

করুন চোখে বেয়ে আছে

সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।